তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। কোভিড-১৯ শেষ হওয়ার পর আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াবো, আমরা সেটা পারবো। সামনে আমাদের জন্য শুভদিন অপেক্ষা করছে। করোনা পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগানোর সময়ে এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। নিজেদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যে জায়গা করে নেয়ার সময় এসেছে।’
বৃহস্পতিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) যৌথভাবে আয়োজিত জুম প্লাটফর্মে ‘কোভিড-১৯ এন্ড বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এবং পরবর্তী সময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্ব একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ টাস্ক ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম এফটিএ স্বাক্ষর করবে ভুটানের সাথে। এর পর পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করবে।’
দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রপ্তানি বাজারে শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। দেশের আইটি, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জনিয়ারিং, সিরামিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রী রপ্তানি খাতেও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
‘আশা করা যায় এ বছরের শেষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট সাইফ ইসলাম দিলাল’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।